যশোরে স্ত্রীর লাঠির আঘাতে স্বামী মুস্তাকিন হোসেন সুমন (৩০) মারা গেছেন। বুধবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ১৪ মার্চ বিকালে ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে স্ত্রীর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন সুমন।
বৃহস্পতিবার তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী মিনা খাতুনকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। নিহত সুমন ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে।
স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে ঝিকরগাছা থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, মুস্তাকিন হোসেন সুমন প্রায় ৬ বছর মালেশিয়ায় ছিলেন। আড়াই বছর আগে দেশে ফিরেছেন। প্রেমের সম্পর্কে মিনা খাতুনের সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। তাদের বড় মেয়ের বয়স ৮ বছর। তাদের বিয়ের বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ করেনি পরিবার। তবে দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।
কিন্তু সুমন শ্বশুরবাড়িতে খুবই কম যেতেন। আবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাড়িতে আসুক- এটাও তিনি পছন্দ করতেন না। গত ১৪ মার্চ জামাই বাড়িতে বেড়াতে আসেন মিনা খাতুনের মা। তার আগমনে মিনা খাতুন বেশ কিছু ভালো আইটেমের খাবার রান্না করেন।
এ নিয়ে বকাবকি শুরু করেন সুমন। তখন শ্বাশুড়ি বলেন- খাবার রান্নায় যত টাকা খরচ হয়েছে দিয়ে দিব, তোমরা গণ্ডগোল করো না। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সুমনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন মিনা খাতুন। এতে গুরুতর আহত হন সুমন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে, পরে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসক সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাপালো হাসপাতালে ভর্তি করলে বুধবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মিনা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।